SSC Case update: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আইনি নোটিশ জারি করা হয়েছে। মূল মামলাকারীরা এই নোটিশ পাঠিয়েছেন, এবং এর ফলে রাজ্য রাজনীতিতে আবার নতুন করে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
কী আছে এই নোটিশে?
মামলাকারীদের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সঠিকভাবে মান্যতা দেওয়া হয়নি। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল, ২০১৬ সালের ২৬,০০০ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করতে হবে এবং নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। কিন্তু সেই নির্দেশ কার্যকরী করার ক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে যদি এই নির্দেশগুলি সঠিকভাবে পালন না করা হয়, তাহলে সুপ্রিম কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
মূল অভিযোগগুলি কী কী?
নোটিশে একাধিক গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে। সেগুলি হল:
- অবৈধদের তালিকা প্রকাশ না করা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, অবৈধভাবে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এর ফলে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কারা বসতে পারবে এবং কারা পারবে না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
- OMR শিট প্রকাশ না করা: কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও প্রায় ২২ লক্ষ OMR শিট এখনও প্রকাশ করা হয়নি। এর ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
- বেতন ফেরত প্রক্রিয়া শুরু না হওয়া: অবৈধভাবে নিযুক্তদের থেকে বেতন ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। যেহেতু অবৈধদের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি, তাই এই প্রক্রিয়াটিও আটকে রয়েছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ কী?
মামলাকারীরা জানিয়েছেন, যদি আগামী সাত দিনের মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এই অভিযোগগুলির বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তারা সুপ্রিম কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা করতে বাধ্য হবেন। যদি তাই হয়, তাহলে নিয়োগকারী সংস্থার আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, এমনকি তাদের জেল পর্যন্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, এই আইনি নোটিশের পর রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন কী পদক্ষেপ নেয়। গোটা বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে রয়েছে, তাই আগামী দিনে এই মামলায় আরও নতুন মোড় আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
