SSC 2016: চাকরিহারাদের চাকরিতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু, ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব

SSC 2016: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর চাকরিহারাদের পুরানো চাকরিতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করল পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দফতর। প্রায় ১৫০০ আবেদন জমা পড়েছে এবং এই আবেদনগুলির সত্যতা যাচাই করার জন্য জেলা পরিদর্শকদের (ডিআই) কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি চাকরিহারা শিক্ষকদের জন্য একটি নতুন আশার আলো নিয়ে এসেছে, কিন্তু এর বাস্তবায়নের পথটি এখনও বেশ দীর্ঘ। শিক্ষা দফতর জানিয়েছে যে, এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন করা হবে এবং যোগ্য প্রার্থীরাই কেবল চাকরি ফিরে পাবেন।
শিক্ষা দফতরের জরুরি পদক্ষেপ
স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চাকরিহারাদের কাছ থেকে প্রায় ১৫০০ আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এই আবেদনকারীদের মধ্যে কারা যোগ্য এবং কারা অযোগ্য, তা নির্ধারণ করার জন্য জেলা স্কুল পরিদর্শকদের (ডিআই) একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা দফতর ডিআই-দের নির্দেশ দিয়েছে যে, একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করে তিন দিনের মধ্যে পাঠাতে হবে। এই রিপোর্টটি পাওয়ার পরেই শিক্ষা দফতর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এই পদক্ষেপে চাকরিহারাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ এটিকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, আবার অন্যরা এর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
আবেদনকারী ১৫০০ জনই পূর্বে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু তাদের মধ্যে কারা সত্যিই যোগ্য এবং কারা দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি পেয়েছিলেন, তা নির্ধারণ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এর আগেও যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে পার্থক্য নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। তাই, এ বারের তালিকাটি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে কোনও যোগ্য প্রার্থী বঞ্চিত না হন এবং কোনও অযোগ্য প্রার্থী পুনরায় চাকরি না পান। এই তালিকাটি চাকরি ফেরানোর প্রক্রিয়ার ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে এবং এর ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে?
জেলা পরিদর্শকদের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর, শিক্ষা দফতর একটি চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করবে। সেই তালিকা অনুযায়ী যোগ্য প্রার্থীদের চাকরিতে পুনর্বহালের প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে, এই প্রক্রিয়াটি কতদিনে সম্পন্ন হবে বা এর চূড়ান্ত ফলাফল কী হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। শিক্ষা দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন যে, তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার চেষ্টা করছেন। চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য এই পদক্ষেপটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর ফলাফলের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।