DA Case WB: বকেয়া ডিএ নিয়ে ধুন্ধুমার! রাজ্যকে আইনি নোটিশ, সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ কী?

DA Case WB: পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মামলা এক নতুন মোড় নিয়েছে। বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের গড়িমসির অভিযোগে এবার সরাসরি আইনি নোটিশ পাঠাল সরকারি কর্মচারী পরিষদ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও ডিএ না মেটানোয় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। এই আইনি নোটিশের ফলে রাজ্য সরকার এবং সরকারি কর্মীদের মধ্যে সংঘাত আরও বাড়তে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
মূল ঘটনা
সরকারি কর্মচারী পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ২৭শে জুন তারা রাজ্য সরকারকে একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে। এই নোটিশটি রাজ্যের মুখ্য সচিব, অর্থ দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এবং আইন সচিবকে পাঠানো হয়েছে। নোটিশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে অবিলম্বে বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে, নাহলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে। এর আগেই অবশ্য রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে একটি মডিফিকেশন আবেদন করে আরো ৬ মাস সময় চেয়েছে।
আইনি নোটিশের প্রেক্ষাপট
- সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ: গত ১৬ই মে, সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে ডিএ মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই সময়সীমা ২৭শে জুন শেষ হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডিএ মেটানো নিয়ে কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ।
- রাজ্য সরকারের আবেদন: অন্যদিকে, রাজ্য সরকার ২৭শে জুন সুপ্রিম কোর্টে একটি মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশন দাখিল করেছে। সরকারি কর্মচারী পরিষদের মতে, এই আবেদনটি আসলে ডিএ দেওয়ার প্রক্রিয়াকে আরও বিলম্বিত করার একটি কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়।
- কর্মচারী পরিষদের দাবি: পরিষদের দাবি, রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নিতে হবে এবং বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। নোটিশ পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে এই নির্দেশ না মানা হলে, তারা শীর্ষ আদালতে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে?
এই আইনি নোটিশের পর রাজ্য সরকার এখন কোন পথে হাঁটবে, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে। একদিকে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানার চাপ, অন্যদিকে কর্মচারী সংগঠনগুলির ক্রমাগত আন্দোলন। রাজ্য সরকার যদি এই নোটিশের পরেও কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে ডিএ মামলা যে আরও জটিল এবং দীর্ঘস্থায়ী হতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সরকারি কর্মীদের আশা, এই আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে তারা তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবেন।