Digital Census 2026: এবার জনগণনা হবে আরও নিখুঁত! জিওট্যাগিং ব্যবহারে আসছে ডিজিটাল সেন্সাস

Digital Census 2026: কেন্দ্র সরকার এবার জনগণনাকে আরও নির্ভুল ও সঠিক করতে জিওট্যাগিং বা ভূ-প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে। সেন্সাস কমিশনের এই নতুন পদক্ষেপে দেশের জনসংখ্যা গণনার পদ্ধতিতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে চলেছে। এই পদ্ধতির মূল লক্ষ্য হল, কোনও ব্যক্তির নাম যাতে একাধিকবার নথিভুক্ত না হয় এবং জনসংখ্যার সঠিক পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা যায়। এই ডিজিটাল জনগণনার ফলে দেশের সম্পদ বন্টন এবং উন্নয়নমূলক প্রকল্পের পরিকল্পনা আরও বাস্তবসম্মত ও কার্যকরী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কীভাবে কাজ করবে এই নতুন ডিজিটাল জনগণনা?
এই নতুন পদ্ধতিতে জনগণনার কাজে ভূ-স্থানিক প্রযুক্তি বা জিওস্পেশিয়াল টেকনোলজি ব্যবহার করা হবে। এর জন্য রাজ্য, জেলা এবং শহরের বিস্তারিত মানচিত্র তৈরি করা হচ্ছে। প্রায় ছয় লক্ষ মানচিত্র তৈরির কাজ চলছে। জনগণনার কর্মীরা একটি বিশেষ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করবেন। প্রতিটি বাড়ির অবস্থান এবং বাসিন্দা সংখ্যা সহ সমস্ত তথ্য জিওট্যাগিংয়ের মাধ্যমে আপলোড করা হবে। এর ফলে সহজেই প্রতিটি বাড়িকে চিহ্নিত করা যাবে এবং একাধিকবার গণনার সম্ভাবনা থাকবে না।
জনগণনার সময়সূচি ও বাজেট
- প্রথম পর্যায়: ২০২৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জনগণনার প্রথম পর্যায়ের কাজ চলবে। এই পর্যায়ে মূলত বাড়ি গণনার কাজ হবে।
- দ্বিতীয় পর্যায়: ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হবে।
- চূড়ান্ত রিপোর্ট: ২০২৭ সালের মার্চ মাসের শেষে বা এপ্রিল মাসে দেশের জনসংখ্যার চূড়ান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সম্পূর্ণ ডিজিটাল জনগণনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৮,৭৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এই বিশাল কর্মযজ্ঞে প্রায় ৩৪ লক্ষ কর্মী নিয়োগ করা হবে এবং প্রত্যেক কর্মীকে ৩০,০০০ থেকে ৩৫,০০০ টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হবে।
নতুন পদ্ধতির সুবিধা
- নির্ভুলতা: জিওট্যাগিং ব্যবহারের ফলে তথ্যের নির্ভুলতা বাড়বে এবং একাধিকবার গণনার সমস্যা দূর হবে।
- স্বচ্ছতা: সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল হওয়ায় তথ্যের স্বচ্ছতা বজায় থাকবে।
- দ্রুত ফলাফল: ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহের ফলে দ্রুত ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে।
- উন্নত পরিকল্পনা: সঠিক জনসংখ্যার পরিসংখ্যান সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির পরিকল্পনা ও রূপায়ণে সহায়ক হবে।
এই উদ্যোগের ফলে ভারতের জনগণনা ব্যবস্থা আরও আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠবে, যা দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।