Primary Teacher Case: আজ হাইকোর্টে ৩২,০০০ শিক্ষক বাতিল মামলার শুনানি, কী হতে চলেছে? সকলের নজর ডিভিশন বেঞ্চের দিকে

Primary Teacher Case: রাজ্যের হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণকারী ৩২,০০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের মামলার শুনানি আজ কলকাতা হাইকোর্টে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। বিচারপতি তব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতুব্রত কুমার মাহিতির ডিভিশন বেঞ্চে এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের হয়ে সওয়াল করতে চলেছেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। আজকের শুনানির দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা রাজ্য, কারণ এই রায়ের ওপরই নির্ভর করছে হাজার হাজার কর্মহীন এবং কর্মরত শিক্ষকের ভবিষ্যৎ।
আজকের শুনানির মূল বিষয়
আজ কোর্ট নম্বর ১১-তে বিচারপতি তব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতুব্রত কুমার মাহিতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হবে। ‘প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বনাম প্রিয়াঙ্কা নস্কর এবং অন্যান্যদের’ এই মামলাটি আজকের তালিকার ১৪ নম্বরে রয়েছে। এর সাথে আরও ৭৫টি আবেদন যুক্ত হওয়ায় মামলাটি এক নতুন মাত্রা পেয়েছে।
দুপুরের পর শুনানি শুরু হলে পর্ষদের পক্ষে সওয়াল শুরু করবেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। সূত্রের খবর, তিনি মূলত একক বেঞ্চের রায়ের অসঙ্গতি তুলে ধরার চেষ্টা করবেন। তাঁর প্রধান যুক্তি হতে পারে, মূল রিট আবেদনে যেখানে চাকরি বাতিলের আবেদনই করা হয়নি, সেখানে একক বেঞ্চ কীভাবে নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেয়? পর্ষদ ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার দাবি করে আদালতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার চেষ্টা করবে।
পর্ষদের সম্ভাব্য যুক্তি ও আদালতের নজর
পর্ষদের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হতে পারে যে, মামলাকারীরা তাঁদের মূল আবেদনে দুর্নীতির অভিযোগ আনেননি, বরং প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করার এক্তিয়ার আদালতের রয়েছে কিনা, সেই প্রশ্নও তোলা হতে পারে।
তবে আদালতের মূল নজর থাকবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও অস্বচ্ছতা বা দুর্নীতি হয়েছিল কিনা, সেই দিকে। বিশেষ করে, সংরক্ষণের নিয়ম সঠিকভাবে মানা হয়েছিল কিনা এবং অ্যাপটিটিউড টেস্ট যথাযথভাবে নেওয়া হয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখবে ডিভিশন বেঞ্চ। পর্ষদকে এই সংক্রান্ত সমস্ত নথি আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।
চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ কোন পথে?
আইনজীবী মহলের মতে, যদি আদালত সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করার পথে হাঁটে, তবে কর্মরত এবং চাকরিপ্রার্থী উভয় পক্ষই চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মামলাকারীদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত ছিল, নিজেদের বঞ্চনার কথা তুলে ধরে চাকরির দাবি আদায় করা।
আজকের শুনানিতে পর্ষদের যুক্তি এবং আদালতের পর্যবেক্ষণের ওপরই নির্ভর করছে সবটা। হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ কী হবে, তা জানতে আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা করতেই হবে। এই মামলার প্রতিটি মুহূর্তের আপডেটের জন্য আমাদের সাথে থাকুন।