Primary Teacher Recruitment: ৯৫৩৩ জনের প্যানেল বদলানো যাবে না, ১২ জনের করা মামলা নিয়ে জানালো কলকাতা হাইকোর্ট
১২ জনের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ।
![Primary TET WBBPE Goutam Pal office](/wp-content/smush-webp/2023/12/Primary-TET-WBBPE-Goutam-Pal-office-780x470.jpg.webp)
Primary Teacher Recruitment: ২০২২ সালের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারে। বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি আসানুদ্দিন আমানুল্লাহর বেঞ্চ প্যানেল প্রকাশনার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, প্রাথমিকভাবে ১১ হাজার ৭৫৮টি শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া যাবে।
আদালতের অনুমোদনের পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৯ হাজার ৫৩৩ পদে নিয়োগের জন্য মেধা তালিকা প্রকাশ করে। বৃহস্পতিবার ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করতে চেয়েছিলেন ১২ জন। সেই আবেদনে সম্মতি দেন বিচারপতি রাজশেখর মন্থা। ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, ১২ জনের জন্য আলাদা মেধা তালিকা জারি করতে হবে। কিন্তু মূল তালিকা স্পর্শ করা যাবে না।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রকাশিত ৯ হাজার ৫৩৩ জনের প্যানেলকে বদল করা যাবে না বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মেধা তালিকায় যারা চাকরি পাবে তাদের এই আলাদা মেধা তালিকার সঙ্গে মেলাতে হবে। যদি দেখা যায় যে এই ১২ জন সেই প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত প্রার্থীদের চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে, তবে তাদের জন্য একটি পৃথক প্যানেল গঠন করতে হবে। এই ১২ জনেরই B.Ed এবং D.El.Ed ডিগ্রী আছে। বিচারপতি মান্থা বলেন, ১২ জনের প্যানেলের সঙ্গে ৯ হাজার ৫৩৩ জনের প্যানেলের তুলনা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, অনেক প্রার্থী আছেন যাদের বিজ্ঞপ্তির তারিখের আগে B.Ed এবং D.El.Ed উভয় যোগ্যতাই ছিল। কিন্তু কেউ কেউ ফর্ম পূরণ করার সময় D.El.Ed যোগ্যতা উল্লেখ করেননি কারণ কারও কারও উচ্চতর নম্বর ছিল আবার কারও উচ্চতর B.Ed যোগ্যতা ছিল। এই ধরনের চাকরিপ্রার্থীরা বিচারপতি রাজশেখর মন্থার বেঞ্চে একটি মামলা করেছেন এবং বলেছেন যে বিষয়টি বিজ্ঞপ্তির সময় জানা থাকলে তাদের নাম প্যানেলে থাকত। শুক্রবার মামলার শুনানি হয়।