চাকরিতে ইস্তফা দেবার নিয়ম
প্রশ্ন ১। চাকরিতে ইস্তফা দিতে গেলে করণীয় কী?
উত্তর। অস্থায়ী এবং স্থায়ী কর্মচারীর ক্ষেত্রে প্রযােজ্য নিয়মাবলী:
(ক) অস্থায়ী কর্মচারীর ইস্তফার ক্ষেত্রে তাকে এক মাসের নােটিশ দিতে হবে। যদি কোনাে অস্থায়ী কর্মচারী নােটিশ না দেন অথবা নােটিশের সময়কাল যদি এক মাসের কম হয়, সেক্ষেত্রে নিয়ােগকর্তার বিবেচনা অনুযায়ী এক মাসের বেতন অথবা নােটিশের সময়কাল এক মাসের কম হলে যতদিন কম হবে ততদিনের বেতন কাটতে পারেন।
(খ) যদি স্থায়ী কর্মচারী হন সেক্ষেত্রে তিন মাসের নােটিশ দিতে হবে। যদি তিনি তা লজ্ঞান করেন সেক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়। [Rule 34A(1) (2)]।
প্রশ্ন ২। যদি কোনাে কর্মচারী চাকরিতে ইস্তফা দেবারর নােটিশ দেন এবং ওই ইস্তফা যে তারিখ থেকে কার্যকর হবে সেই তারিখের পূর্বে যদি তিনি তা প্রত্যাহার করে নেন, সেক্ষেত্রে কী হবে?
উত্তর। আবেদন অনুযায়ী যে তারিখ থেকে ইস্তফা কার্যকর হবার কথা সেই তারিখের আগে যদি ইস্তফা পত্র প্রত্যাহার করেন সেক্ষেত্রে চাকরিতে বহাল থাকা যায়। ওই তারিখের পর ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করলে তা গ্রাহ্য হবে না। (Rule 34A Note)
প্রশ্ন ৩। চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুনরায় কী চাকরিতে যােগদান করা যায় ?
উত্তর। হ্যা যায়। এক্ষেত্রে পরবর্তী নিয়ােগটি নতুন নিয়ােগ হিসাবে গণ্য হবে। ফলে পে প্রােটেকশান পাওয়া যাবে না এবং পূর্বের চাকরির ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে না। ওই পদের রিক্রুটমেন্ট রুল অনুযায়ী এক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়স যদি বেশি হয়, সেক্ষেত্রে হেড অফ ডিপার্টমেন্ট তার উন্নতমানের কাজের কথা বিবেচনা করে বাড়তি বয়স শিথিল করতে পারেন (নতুন নিয়ােগের ক্ষেত্রে তার ক্ষমতা বলে)। (Rule 34 A Note)
প্রশ্ন ৪। অস্থায়ী কর্মচারী অথবা যে কর্মচারীর নিয়ােগপত্রে উল্লেখ থাকে “temporarily or until further notice or order or terminable without notice,” এক্ষেত্রে কোনো নোটিশ না দিয়ে কি তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে পারে?
উত্তর। না। তাঁকে এক মাসের নােটিশ অথবা এক মাসের বেতন দিয়ে বরখাস্ত করতে পারে।(Rule 34 B)