Sangrami Joutha Mancha: ৮৬৩ দিনের লড়াই! ডিএ, বদলি, চাকরি বাতিল নিয়ে রাজ্যকে কোণঠাসা করার ডাক ভাস্কর ঘোষের

Sangrami Joutha Mancha: আজ, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ একটি সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ তুলে ধরেছেন এবং আগামী দিনের জন্য বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ৮৬৩ দিনে পড়া এই মঞ্চের অবস্থান-বিক্ষোভের মঞ্চ থেকে তিনি মূলত তিনটি প্রধান বিষয় তুলে ধরেন: প্রতিহিংসামূলক বদলি, বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) এবং ২০১৬ সালের প্যানেলভুক্ত চাকরি বাতিল।
বেআইনি বদলি ও নির্দিষ্ট নীতির দাবি
ভাস্কর ঘোষ অভিযোগ করেন যে, আন্দোলনকে দমন করার জন্য রাজ্য সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মঞ্চের নেতাদের রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বদলি করছে। তিনি কলকাতা জেলার আহ্বায়ক সুদীপ চন্দ্রের আলিপুরদুয়ারে বদলির প্রসঙ্গ তুলে ধরে জানান যে, কলকাতা হাইকোর্ট এই বদলির ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে, যা রাজ্য সরকারের জন্য একটি বড় ধাক্কা। মঞ্চের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই বদলি সম্পূর্ণ বেআইনি এবং প্রতিহিংসামূলক। এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে, আগামী দিনে প্রতিটি দপ্তরে একটি নির্দিষ্ট এবং স্বচ্ছ বদলি নীতি চালুর দাবি জানানো হয়েছে।
বকেয়া ডিএ নিয়ে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি
মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ নিয়েও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন ভাস্কর ঘোষ। তিনি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, সমস্ত কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের জন্য বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ অবিলম্বে মিটিয়ে দিতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন যে, যদি রাজ্য সরকার এই ক্ষেত্রে কোনও বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণ করে এবং নির্দিষ্ট কিছু গোষ্ঠীকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করে, তবে সমস্ত কর্মচারী সংগঠনকে একত্রিত করে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। প্রয়োজনে নবান্ন অভিযানের মতো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন।
২০১৬-র প্যানেল বাতিল: পুর্নপরীক্ষার বিরোধিতা
২০১৬ সালের বাতিল হওয়া প্যানেল নিয়েও মঞ্চের অবস্থান স্পষ্ট করেন ভাস্কর ঘোষ। তিনি জানান, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ পুর্নপরীক্ষার বিপক্ষে। তাঁদের দাবি, সরকারের কাছে থাকা OMR শিটের মিরর ইমেজ অবিলম্বে প্রকাশ করা হোক এবং যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা পৃথক করে শুধুমাত্র দুর্নীতিগ্রস্তদের চাকরি বাতিল করা হোক। যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা সুপ্রিম কোর্টে জমা দিয়ে প্যানেল বাঁচানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
সামগ্রিকভাবে, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এই সাংবাদিক সম্মেলন রাজ্য সরকারের ওপর চাপ বাড়িয়েছে। বদলি, ডিএ এবং চাকরি বাতিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে তাঁদের কঠোর অবস্থান আগামী দিনে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।