WBSSC: শিক্ষক নিয়োগে তৎপরতা, সুপ্রিম কোর্টের ডেডলাইন মিস নয়, হলফনামা পেশ রাজ্যের

WBSSC: ২০১৬ সালের এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন) নিয়োগ প্রক্রিয়ার জট কাটাতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করল রাজ্য সরকার। শীর্ষ আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যেই, অর্থাৎ ৩১শে মে, ২০২৫-এর আগে, ৩০শে মে রাজ্য সরকার, পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং পশ্চিমবঙ্গ সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে প্রয়োজনীয় হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে।
সময়মতো পদক্ষেপের গুরুত্ব
সুপ্রিম কোর্ট গত ৩রা এপ্রিল, ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ মামলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছিল। পরবর্তীকালে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৭ই এপ্রিল এই রায়ে কিছু পরিবর্তন এনে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, রাজ্য সরকার সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিকে ৩১শে মে, ২০২৫-এর মধ্যে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছিল। এর সাথে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য পূর্ণাঙ্গ সময়সূচীসহ (ফর্ম পূরণের তারিখ, পরীক্ষার তারিখ, কাউন্সেলিং-এর তারিখ ইত্যাদি) একটি বিজ্ঞপ্তির কপিও জমা দেওয়ার নির্দেশ ছিল।
রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড হিমা লরেন্স ৩০শে মে, ২০২৫ তারিখে দুপুর ১২:৩০ মিনিটে একটি চিঠি এবং দুপুর ২:১৩ মিনিটে বিস্তারিত আন্ডারটেকিং হলফনামা সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করেন। এই হলফনামায় এসএসসি দ্বারা প্রকাশিত নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি এবং তার সম্পূর্ণ সময়সূচীও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এই হলফনামা জমা দেওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। কারণ, এর ওপরেই সেই সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ নির্ভর করছিল, যাদের কার্যকাল ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। সময়মতো হলফনামা জমা না পড়লে, তাঁদের তৎক্ষণাৎ চাকরি বাতিলের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
স্বস্তি ও পরবর্তী পদক্ষেপ
যদিও চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা পুনরায় পরীক্ষায় বসতে রাজি নয় তবুও রাজ্য সরকারের এই সময়োচিত পদক্ষেপে শিক্ষা মহলে সাময়িক স্বস্তি ফিরেছে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আদালতের নির্দেশ পালন করায়, একদিকে যেমন চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ আপাতত কিছুটা স্বস্তিতে, তেমনই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পথও সুগম হল। মনে করা হচ্ছে, এই হলফনামার ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্ট পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে এবং রাজ্যে স্বচ্ছ ও দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।