Foreign Travel: রাজ্য সরকারি কর্মীদের বিদেশ ভ্রমণের নিয়মে বড়সড় পরিবর্তন! মাসখানেক আগে নিতে হবে অনুমতি

Foreign Travel: রাজ্য সরকারি কর্মীদের বিদেশ ভ্রমণের নিয়মে জারি হল নতুন নির্দেশিকা। এখন থেকে ব্যক্তিগত বা অফিসের কাজে বিদেশ যেতে হলে অন্তত এক মাস আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে। এই বিষয়ে সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ সমস্ত দপ্তরের সচিবদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। নতুন এই নিয়ম রাজ্য সরকারি কর্মীদের লিভ ট্র্যাভেল কনসেশন (LTC) এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
নতুন নিয়মের বিশদ বিবরণ
রাজ্য অর্থদপ্তরের জারি করা নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, এখন থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের যেকোনো ধরনের বিদেশ সফরের জন্য আগাম অনুমোদন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নিচে এই সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি তুলে ধরা হলো:
- আবেদনের সময়সীমা: বিদেশ ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকলে, সংশ্লিষ্ট কর্মীকে তার দপ্তরের প্রধানের মাধ্যমে অন্তত এক মাস আগে মুখ্য সচিবের দপ্তরে আবেদন জানাতে হবে।
- LTC-এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য: রাজ্য সরকারি কর্মীরা প্রতি দশ বছরে একবার সপরিবারে নির্দিষ্ট কিছু দেশ ভ্রমণের জন্য LTC সুবিধা পান। নেপাল, ভুটান, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মায়ানমার, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়ার মতো দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও এই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে।
- কোনো বিশেষ ছাড় নয়: চিঠিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, সমস্ত ব্যবস্থা হয়ে যাওয়ার যুক্তিতে অনুমোদনের ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে না। তাই, টিকিট বা হোটেল বুকিং করার আগেই অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
- সার্ভিস রুল: সরকারি কর্মীদের বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে সার্ভিস রুলে নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে এবং পাসপোর্ট করার জন্যও সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন। কিন্তু অনেকেই এই নিয়ম সঠিকভাবে মানছেন না বলে চিঠিতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
কর্মীদের প্রতিক্রিয়া
কর্মী সংগঠনগুলি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও, জরুরি পরিস্থিতিতে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা রাখার আবেদন জানিয়েছে। তাদের মতে, অনেক সময় ব্যক্তিগত বা অফিসের জরুরি প্রয়োজনে হঠাৎ করে বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে এক মাস আগে থেকে অনুমতি নেওয়ার নিয়মটি সমস্যার কারণ হতে পারে।
LTC সুবিধা
রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য LTC একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় সুবিধা। এই সুবিধায় কর্মীরা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিদেশ ভ্রমণের জন্য বিমান ভাড়ার টাকা পান। এই সুবিধার কারণেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে বিদেশ ভ্রমণের প্রবণতা বেশি।